কাফিররা ৩০০ বছরের একটা পরিকল্পনা করেছিল। পরিকল্পনাটি হচ্ছে তারা ৩০০ বছরের মধ্যে দুনিয়ার সমস্ত মুসলমানদেরকে দুনিয়া থেকে চিরবিদায় করে দিবে
"নাউযুবিল্লাহ"
তাদের সেই ৩০০ বছর পূর্ণ হতে বাকী আছে আর মাত্র ২ টি বছর। এখন চলতেছে ১৪৪২ হিজরী মাঝে আছে ১৪৪৩,১৪৪৪ এরপরই সেই নীল নকশায় আঁকা ১৪৪৫ হিজরী। তারা নীল নকশা করেছিল এই ৩০০ বছরে মুসলমানদেরকে পৃথিবী থেকে একেবারে বিদায় করে দিবে
"নাউযুবিল্লাহ"
অথচ তাদের প্লান পরিকল্পনা অনুযায়ী তারাই আজ পৃথিবী থেকে সরাসরি জাহান্নামের অতল গহ্বরে যাচ্ছে। কিন্তু এরপরও তারা মুসলমান ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। যখন তারা দেখতেছে মুসলমানকে কোনোভাবেই উৎখাত করা যাচ্ছেনা অথচ সময় হাতে খুবই কম তাই তড়িঘড়ি করে খুবই সূক্ষভাবে তারা বিশ্বব্যাপী মহামারি নামে করোনা গুজব ছড়িয়ে দিল। তারা হাদীছ শরীফ রিসার্চ করে দেখলো আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে প্রাণপ্রিয় নবীজি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বলেছেন স্পষ্ট হাদীছ শরীফ “লা আদওয়া” অর্থাৎ ছোঁয়াচে বলতে কোনো রোগ নাই। সেই হাদীছ শরীফখানা রিসার্চ করে মুসলমানদেরকে কুফরী করে কাফির বানিয়ে ১৪৪৫ হিজরীর ভিতরে দুনিয়া থেকে উৎখাত করার জন্য খুবই কঠিন পরিকল্পনা করেছে। তারা করোনার নাম দিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার ঘর মুবারক মসজিদ বন্ধ করে দিচ্ছে, কারণ তারা জানে মসজিদ বন্ধ করে দিলেই মুসলমান অটোমেটিক ধ্বংস হয়ে যাবে
"নাউযুবিল্লাহ"
এরপর তারা মসজিদে তিন ফিট চালু করে দিল। অথচ মুসলিম একটা ছোট বাচ্চাও জানে কাতার ফাঁকা রাখলে নামায হয়না। তারা এজন্যই কাতার ফাঁক চালু করলো যাতে মুসলমানদের নামায আল্লাহ পাক উনার কাছে কবুল না হয়
"নাউযুবিল্লাহ"
এরপর তারা মাদরাসা,স্কুল,কলেজ,ভার্সিটি সব বন্ধ করে দিল। যাতে মুসলমান শিক্ষা অর্জন করতে না পেরে গণ্ডমূর্খ হয়ে দুনিয়া থেকে উৎখাত হয়
"নাউযুবিল্লাহ"
এরপর তারা মুসলমানদের আয়ের উৎস বন্ধ করতে চক্রান্ত শুরু করলো, তারা বললো জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের ভিতরেই থাকুন। অথচ কুরআন শরীফে আল্লাহ পাক উনি স্বয়ং নিজেই বলেছেন তোমরা আমার ইবাদতের পর জমিনে ছড়িয়ে পড়ো রিযিক তালাশের উদ্দেশ্যে। কিন্তু তারা বললো তোমরা ঘরের ভিতরে থাকো। এর মানে ঘরের ভিতরে থাকলে আল্লাহ পাক উনার ঐ আদেশ মুবারক অমান্য করা হবে এবং রিযিক তালাশ না করলে মুসলমান না খেয়ে মরবে
"নাউযুবিল্লাহ"
কতবড় ষড়যন্ত্র! কতবড় চক্রান্ত!
কিন্তু এই কাফিররা তো চরম পর্যায়ের গণ্ডমূর্খ। কারণ আল্লাহ পাক প্রতি হিজরী শতকের শুরুতে একজন মুজাদ্দিদ প্রেরণ করেন, যিনি সারা পৃথিবীর সমস্ত মুসলিম উম্মাহর ধারক-বাহক হন। বর্তমান যামানায় মহান খ্বলিক মালিক রব আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন মুজাদ্দিদে আ’যম আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার সম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে পাঠিয়েছেন মুজাদ্দিদ হিসেবে। উনি এসে সমস্ত বাতিল-বিদয়াত-চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র সকলের মাঝে স্পষ্টভাবে তুলে ধরতেছেন এবং সকল গোমড়াহী নস্যাৎ করে দিচ্ছেন। একমাত্র উনি ফতওয়া মুবারক দিচ্ছেন ছোঁয়াচে বলতে কোনো রোগ নাই। একমাত্র উনিই বলতেছেন করোনা হচ্ছে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত। একমাত্র উনিই সারা ঢাকা শহরের অলি গলি,রাস্তা,ফ্লাইওভার অসংখ্য জায়গায় ওয়াল রাইটিং করাচ্ছেন ছোঁয়াচে বলতে কিছু নেই স্পষ্ট অক্ষরে সারা কায়িনাতে করোনা চক্রান্ত প্রকাশ করতেছেন। একমাত্র উনিই প্রতিদিন দৈনিক পত্রিকা আল ইহসান শরীফে ব্যানার হ্যাডিং দিচ্ছেন করোনা বলতে কিছু নেই, করোনা ছোঁয়াচে নয়, করোনার কোনো অস্তিত্ব নেই। একমাত্র উনিই করোনার জন্য সবাইকে আইনী নোটিশ দিচ্ছেন যদিওবা গণতান্ত্রিক কুফরী কান্ট্রিতে সব নোটিশ কার্যকর না হচ্ছে। একমাত্র উনিই আল মুত্বমাইন্নাহ মা ও শিশু হসপিটাল চালু রেখে বলতেছেন তোমরা আসো আমাদের হসপিটাল, যারা সেবা পাচ্ছোনা তারা আসো। জ্বর,স্বর্দি মানেই করোনা নয় কোথাও জ্বর স্বর্দির সেবা না পেলে আসো আমাদের হসপিটাল। বেশুমার শুকরিয়া লক্ষ কোটি শুকরিয়া সারা জীবণ,মরণ সবসময় শুকরিয়া সেই মহান মুর্শিদে আ’যম আওলাদে রসূল রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ক্বদমতলে আসতে পেরেছি, এজন্যই সমস্ত চক্রান্ত বুঝতে পারতেছি। নতুবা আমার মত মুসলমানকেও উৎখাত করতে তাদের ঐ ষড়যন্ত্রই যথেষ্ট ছিল। আসো এখনো সময় আছে দলে দলে ছুটে আসো পৃথিবীবাসী। রাজারবাগ দরবার শরীফ ছাড়া কারো নাই কোনো গতি। কামালিয়ত হাছিল করতে সকলেই রাজারবাগ দরবার শরীফ চলে আসো জলদি, নতুবা ধ্বংস হওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবেনা মনে রেখো সকলই
No comments:
Post a Comment