আজ থেকে দশ বছর পূর্বে নাহিন ভাইয়ের আম্মা ব্রেইন স্ট্রক করেন। কোন মেডিকেলেই উনাকে ভর্তি নেয়া হচ্ছিল না। কারণ রোগীর অবস্থা দেখে সবাই নিশ্চিত ছিল যে, এই রোগী বাঁচবে না। পরিশেষে উনাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেও ভর্তি না নিয়ে তারা রোগীকে ফ্লোরে রেখে দেয়। তখন রোগী সম্পূর্ণ জ্ঞানহারা ছিল। এমতাবস্থায় কোন উপায়ান্তর না পেয়ে উনার বোন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার কাছে বিষয়টি জানায়। জানানোর পর সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, “তোমার মা সুস্থ হবে, কিন্তু একটু সময় লাগবে।” একথা মুবারক শুনে যেন উনাদের মনে পুনরায় প্রাণ ফিরে পেলেন। কেননা এতক্ষণ উনারা মায়ের চিন্তায় প্রায় দিশেহারা ছিলেন। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে বিষয়টি অবহিত করেন এবং বলেন, ডাক্তার মেহেদী ভাই সহ অন্যান্য পীরভাইদেরকে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার নির্দেশক্রমে পীর ভাইয়েরা তখন ঢাকা মেডিকেলে যান এবং ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেন। তিনদিন পর উনার আম্মার জ্ঞান ফিরে আসে এবং আস্তে আস্তে সুস্থ হতে থাকেন। যেরূপ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেছিলেন
"সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম"
মৃত্যুর সন্নিকটে থাকার পরও নতুন জীবন দান করে সালিকাদেরকে হিফাযত করার ক্ষমতা মহান আল্লাহ পাক তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে দান করেছেন
"সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম"
পরিতাপের বিষয় যে, এত বড় মহান নিয়ামত মুবারক পাওয়ার পরও পরিপূর্ণভাবে আমরা উনাকে চিনতে পারলাম না। এখনও সময় রয়েছে। হে কায়িনাতবাসী! উনার পবিত্র নূরানী ক্বদম মুবারকে লুটিয়ে পড়, নিয়ামত মুবারক হাছিল কর।
No comments:
Post a Comment