টাঙ্গাইলের মাক্বসুদা আপা উনি সবসময় চেষ্টা করেন ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ পালনের জন্য দরবার শরীফ আসতে। জুমাদাল উখরা মাসে ১২ই শরীফ পালন করে যাওয়ার সময় উনি যে বাসে ছিলেন সেই বাসটি বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। উনি উনার পাশের সিটে বসা একজন মহিলাকে কিছু তা’লিম দিচ্ছিলেন, যার কারণে উনি এক্সিডেন্ট খেয়াল করেননি। তবে ধাক্কা লাগায় উনি সিট থেকে পড়ে যান। কিছুক্ষণ পরে উঠে দেখলেন বাসে কোন মানুষ নেই। সবাই জীবনের ভয়ে জানালা দিয়ে বের হয়ে গিয়েছে। উনি ভাবছিলেন যে, এখন কী করবেন? কারণ, জানালা দিয়ে বের হওয়া তো অসম্ভব। হঠাৎ করে একজন ছেলে এসে বলল, “আন্টি! আপনি নামতে পারছেন না? আসেন আমার হাত ধরে লাফ দেন।” উনি বললেন, “না, বাবা! তুমি চলে যাও; আমার পক্ষে এভাবে যাওয়া সম্ভব না।” তারপর ছেলেটি চলে গেল। পরে উনি মনে মনে বললেন, আম্মাজী! আপনি ছাড়া আমার এই মুহুর্তে কেউ নাই। আপনিই আমাকে হেফাযত করুন।” এটা বলতে বলতে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ছেলেটি আবার ফিরে এল এবং বলল, “আন্টি! আল্লাহ পাক আপনার উপর রহম করেছেন। একজনের জন্য কখনো মই আনে না। কিন্তু আপনার জন্য কারেন্টের কাজে যে মই ব্যবহার করে, সে মই আনা হয়েছে। আপনি মই দিয়ে নেমে আসুন! উনি মইয়ে চড়লেন কিন্তু কখনো মইয়ে না চড়ায় ভয় পাচ্ছিলেন। ছেলেটি বলল, “আপনি ব্যাগের চিন্তা করবেন না। উনি আম্মাজী আম্মাজী বলে নামলেন। ছেলেটি উনার ব্যাগ নিয়ে আসল। নিচে নেমে দেখা গেল রক্ত ও কাঁচ ভাঙ্গা দিয়ে রাস্তা ভরে গেছে। একজন নিহত হয়েছে, প্রায় সকলেই আহত হয়েছে। কিন্তু উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক উসিলায় উক্ত পীরবোনের কিছুই হয়নি। উনি পুরোই সুস্থ ছিলেন
"সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম"
মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আখাছছুল খাছ মনোনীত ওলীআল্লাহ হলেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম। উনার মুবারক উসিলাতে অসংখ্য- অগণিত সালিক-সালিকাগণ উনাদেরকে উনার খাছ ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ ও নেক দৃষ্টি মুবারক দ্বারা সদাসর্বদা হিফাযত করেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আমাদেরকে উনার ক্বদম মুবারকে অনন্তকাল ধরে ইস্তেকামত থাকার তৌফিক দান করেন
"আমীন"
No comments:
Post a Comment